সরকারের হাতে মাত্র এক মাস সময়, এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে, প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, সরকারী উপদেষ্টা জানান, “এই মাত্র আমরা বিষয়টি জানতে পারলাম। আমরা চেষ্টা করব এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেব।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের হাতে এক মাস সময় আছে।” তবে বিস্তারিত জানাতে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
গত জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের ৪৬ জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আইসিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়া হয়।
প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষ হাসিনা এবং ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ এবং আনিসুল হক রয়েছেন।
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে গত মাসে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন টিম উভয়কেই পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৪ অক্টোবর সরকারের পুনর্গঠন অনুযায়ী, বিচারপতি মোর্তুজাকে চেয়ারম্যান এবং বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে সদস্য করে আইসিটি পুনর্গঠন করা হয়।
৫ আগস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ৭৫৩ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়। এরপর থেকেই শেখ হাসিনা এবং তার দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার ৬০ টিরও বেশি অভিযোগ আইসিটি তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন টিমের কাছে দায়ের করা হয়েছে।https://chubbyfailure.com/b/3hVD0IP.3/pevCbsmHVlJTZDDw0/1/NFjxYwyVNVjZc-0wL/TbUP2/NWjoI/2SN/zBUU
Post a Comment