ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশ সাকিবের: নীরব থাকার জন্য ক্ষমা

 বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান তার নীরবতা নিয়ে চলমান সমালোচনার উত্তর দেন।


ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন সাকিব তার অবসরের ঘোষণা দেন এবং ঢাকার মিরপুরে তার শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

সাকিবের এই নিরাপত্তার শঙ্কা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পরিচালিত গণআন্দোলনের সময় তার নীরবতার কারণে উঠেছিল। ওই আন্দোলনে সরকারের গুলিতে শত শত মানুষ প্রাণ হারায়, এবং সাকিবের নীরবতাকে অনেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি জানিয়েছিলেন যে সাকিবকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। হাসিনার সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রথমে বলেন যে, সাকিবের উচিত আন্দোলন সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করা। পরবর্তীতে, তিনি সাকিবের মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাকে সমর্থন জানান।

সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ার পর, ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অবস্থান স্পষ্ট করে একটি পোস্ট দেন।

সাকিব তার পোস্টে লেখেন, ‘প্রথমেই আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ও আহত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রিয়জন হারানোর বেদনা অপূরণীয়, এবং এ কষ্ট কখনো কমবে না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সংকটের সময়ে আমার নীরবতার জন্য যাদের মনে কষ্ট হয়েছে, তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

সাকিব তার ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনারাই আমার পাশে ছিলেন। শীঘ্রই আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলব, এবং এই পুরো যাত্রায় আপনাদের অবদান অমূল্য।’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি খুব অল্প সময়ের জন্যই সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার জন্মস্থান মাগুরার উন্নয়নের জন্যই আমি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলাম।’

উল্লেখ্য, সাকিব এবং প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা উভয়েই ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রার্থী ছিলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post

1

Smartwatchs